রাতে শিশু ঘুমাতে চায় না, কী করবেন?

ছবি সংগৃহীত

 

 লাইফস্টাইল ডেস্ক  :আধুনিক জীবনে শিশুদের জীবনে এসেছে বড় পরিবর্তন। পড়াশোনার চাপ, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ আর মোবাইলের দীর্ঘ ব্যবহার শিশুদের মানসিক ক্লান্তি বাড়িয়ে তুলেছে। এর ফলে রাতে ঘুমের সমস্যা অনেক বাবা-মায়ের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বয়স অনুযায়ী কিছু ছোট্ট অভ্যাস শিশুদের দ্রুত ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে।

৩ বছরের নিচে বয়স

সাধানণত শিশুরা এই বয়সে ১১ থেকে ১৪ ঘন্টা ঘুমায়। এই সময় তারা নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করতে শুরু করে। এই বয়সের শিশুদের জন্য আলাদা প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার পড়ে না। দিনে একবার হালকা গরম পানিতে গোসল করানো এতে শিশু আরামবোধ করবে। গোসলের পর আলতো করে তেল মালিশ করলে শরীর শান্ত হয় এবং ঘুম ভালো হয়। রাতের খাবারের পর গান শোনানো বা মজার গল্প শিশুকে শান্ত করতে সাহায্য করে, এটি ঘুম আসার জন্য আরামদায়ক উপায় হতে পারে।

 

৩-৫ বছর 

এই বয়সের শিশুরা সাধারণত ১০-১৩ ঘন্টা ঘুমায়। এই বয়সের শিশুদের জন্য একটি রুটিন করে নেওয়া খুব জরুরি। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম পাড়ানো ও ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। ঘুমের আগে ইতিবাচক গল্প শোনাতে হবে।

 

৫-১০ বছর 

এই বয়সে শিশুরা স্কুলে যাওয়া শুরু করে এবং পড়াশোনার চাপও বাড়তে থাকে। এই সময়ে শিশুদের অনেক জিজ্ঞাসা থাকে বা তারা অনেক কথা বলতে চায়, দিনের অন্তত আধা ঘন্টা শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এতে তাদের মানুসিক চাপ কমে যাবে। রাতে ঘুমানোর আগে শিশুকে পছন্দের বই পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এতে একটি ভালো ঘুমের অভ্যাস হয়ে উঠবে। রাতে ঘুমানোর অন্তত এক ঘন্টা আগে মোবাইল,কম্পিউটার বা টিভি থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পরার অভ্যাস তৈরি করলে দ্রুত ঘুম আসবে।

১১-১৩ বছর 

এই বয়সে শিশুদের ওপর মানসিক চাপ বাড়তে শুরু করে। এই বয়সে শিশুদের খেলাধুলা বা ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শরীর সক্রিয় থাকলে রাতে ঘুম ভাল হবে। রাতে ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে সব ধরণের ডিজিটাল ডিভাইস থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। সন্ধ্যায় বা রাতে মিষ্টিজাতীয় খাবার তাদের ডায়েটে না রাখাই ভালো। কারণ এতে থাকা চিনি তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

সূএ : বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালালেও ভারতে গিয়ে শয়তানি করছেন: মির্জা ফখরুল

» খালের মধ্যে কুমিরটা ১৭ বছর যন্ত্রণা দিয়ে দিল্লিতে পালিয়ে আছে: গয়েশ্বর

» ‘দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দিয়েছে, তারেক রহমানকেও দিতে পারবে’: হান্নান মাসউদ

» বিএনপি জাতীয় পার্টির দায়িত্ব নেবে কেন, আপনারা কারা?: জাপা মহাসচিবকে রিজভী

» নুরের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

» প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাত রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত

» ভবিষ্যতে সরকারপ্রধানের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত : ফারুকী

» ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন তারেক রেফাত উল্লাহ খান

» ইউসিবিডিতে মোনাশ ফাউন্ডেশন ২০২৫ প্রোগ্রামের তৃতীয় ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

» পুলিশ বাহিনীতে গড়ে উঠেছিল ২ গ্রুপ, নেতৃত্বে ছিলেন হাবিব-মনির

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রাতে শিশু ঘুমাতে চায় না, কী করবেন?

ছবি সংগৃহীত

 

 লাইফস্টাইল ডেস্ক  :আধুনিক জীবনে শিশুদের জীবনে এসেছে বড় পরিবর্তন। পড়াশোনার চাপ, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ আর মোবাইলের দীর্ঘ ব্যবহার শিশুদের মানসিক ক্লান্তি বাড়িয়ে তুলেছে। এর ফলে রাতে ঘুমের সমস্যা অনেক বাবা-মায়ের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বয়স অনুযায়ী কিছু ছোট্ট অভ্যাস শিশুদের দ্রুত ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে।

৩ বছরের নিচে বয়স

সাধানণত শিশুরা এই বয়সে ১১ থেকে ১৪ ঘন্টা ঘুমায়। এই সময় তারা নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করতে শুরু করে। এই বয়সের শিশুদের জন্য আলাদা প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার পড়ে না। দিনে একবার হালকা গরম পানিতে গোসল করানো এতে শিশু আরামবোধ করবে। গোসলের পর আলতো করে তেল মালিশ করলে শরীর শান্ত হয় এবং ঘুম ভালো হয়। রাতের খাবারের পর গান শোনানো বা মজার গল্প শিশুকে শান্ত করতে সাহায্য করে, এটি ঘুম আসার জন্য আরামদায়ক উপায় হতে পারে।

 

৩-৫ বছর 

এই বয়সের শিশুরা সাধারণত ১০-১৩ ঘন্টা ঘুমায়। এই বয়সের শিশুদের জন্য একটি রুটিন করে নেওয়া খুব জরুরি। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম পাড়ানো ও ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। ঘুমের আগে ইতিবাচক গল্প শোনাতে হবে।

 

৫-১০ বছর 

এই বয়সে শিশুরা স্কুলে যাওয়া শুরু করে এবং পড়াশোনার চাপও বাড়তে থাকে। এই সময়ে শিশুদের অনেক জিজ্ঞাসা থাকে বা তারা অনেক কথা বলতে চায়, দিনের অন্তত আধা ঘন্টা শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এতে তাদের মানুসিক চাপ কমে যাবে। রাতে ঘুমানোর আগে শিশুকে পছন্দের বই পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এতে একটি ভালো ঘুমের অভ্যাস হয়ে উঠবে। রাতে ঘুমানোর অন্তত এক ঘন্টা আগে মোবাইল,কম্পিউটার বা টিভি থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পরার অভ্যাস তৈরি করলে দ্রুত ঘুম আসবে।

১১-১৩ বছর 

এই বয়সে শিশুদের ওপর মানসিক চাপ বাড়তে শুরু করে। এই বয়সে শিশুদের খেলাধুলা বা ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শরীর সক্রিয় থাকলে রাতে ঘুম ভাল হবে। রাতে ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে সব ধরণের ডিজিটাল ডিভাইস থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। সন্ধ্যায় বা রাতে মিষ্টিজাতীয় খাবার তাদের ডায়েটে না রাখাই ভালো। কারণ এতে থাকা চিনি তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

সূএ : বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com